নির্বাচনের পরদিনই ক্রিকেট মাঠে সাকিব
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিনই ক্রিকেট মাঠে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। আসন্ন বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে মাঠে নামতে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি। মঙ্গলবার কোচ সোহেল ইসলামের অধীনে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুশীলন করেছেন দলটির ক্রিকেটাররা।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, টুর্নামেন্ট শেষে একদিনের জন্যও নেতৃত্বে থাকবেন না তিনি। যদিও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, লম্বা সময়ের জন্যই অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সাকিবকে। এ প্রসঙ্গে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘না, এগুলো নিয়ে এখনও কথা হয়নি। কিন্তু বোর্ডের সঙ্গে কথা হবে। যখন কথা হবে, তখন এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তারপর সবাই মিলে যেটা ভালো সিদ্ধান্ত মনে করবে, সেটাই আসলে নেবে।’
প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সাকিবের এবার রংপুরের অধিনায়কত্ব করার কথা। যদিও অনুশীলনের পর সেটি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি নিজেই, ‘এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তো রংপুর রাইডার্স জানাবে। তাদের জিজ্ঞাসা করলে উত্তর পাবেন। আমার মতামতের ওপর তো নির্ভর করে না। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি সব সময় নিজেদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তারা কাকে চায়, কীভাবে চায় এবং সেভাবে পরিকল্পনা করে।’
নির্বাচনের আগে মাগুরাতে গণসংযোগ করেছেন সাকিব। কঠিন পরিশ্রমের পর বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পরদিন সকালেই মাঠের অনুশীলনে দেখা যায় তাকে। কীভাবে সম্ভব হলো এমন প্রশ্নে সাকিব বলেছেন, ‘কীভাবে সম্ভব মানে কী? (হাসি)। বিপিএল শুরু হচ্ছে। প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রায় আড়াই মাসের মতো হয়েছে মাঠের বাইরে। কোনও ফিটনেসের কাজ করতে পারিনি, স্কিলের কাজ করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হওয়ার জন্য সময় লাগবে। এজন্য আর সময় নষ্ট করতে চাইনি।’
একবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুরকে শিরোপা জেতাতে মাঠে নামবেন বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘রংপুর রাইডার্স কি অন্য কোনো চিন্তা করেছে, ইয়ে (চ্যাম্পিয়ন) ছাড়া? স্বাভাবিকভাবেই তাদের দলটা ভালো আছে। আমার মনে হয়, ভারসাম্যপূর্ণ দল। একইসঙ্গে অন্যান্য দলও শক্তিশালী। যেহেতু রংপুর রাইডার্স প্রতি বছরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল করে থাকে, এবছরও তাদের সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’
চলতি বছরের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এই বিশ্বকাপে ভালো করার প্রত্যাশা সাকিবের কণ্ঠে, ‘প্রতিবারই তো বেশি প্রত্যাশা থাকে। এবারও তাই থাকবে। যেহেতু টি-টোয়েন্টি সংস্করণ, আমরা শেষ এক বছর খুব ভালো খেলেছি। দলটা এখন ভারসাম্যপূর্ণ আছে, ছন্দেও আছে। সবাই ভালো খেলছে। নিউজিল্যান্ডেও ভালো খেলেছে। প্রত্যাশা তো বেশি থাকবেই। খেলা হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। যেখানে হয়তো আমাদের ক্রিকেটটা বেশি মানানসই হবে। তো আমাদের সুযোগ আছে।’