রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭.পৌষ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৭, ৪ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৭:৪৩, ৪ জানুয়ারি ২০২৪

ভোট বর্জনের আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের

ভোট বর্জনের আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা, পরিটিক্সবিডি

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ ছাড়া সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে, নির্বাচন বন্ধ করে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। নির্বাচনের পরে দলের পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম দলের পক্ষে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহের মধ্যে আছে- ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করতে হবে, বর্তমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সরকার গঠন করতে হবে, নির্বাচন কমিশন ভেঙে জাতীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের তফসিল পুনরায় ঘোষণা করতে হবে এবং বিরোধীদলের কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয় না, এমনকি পাতানো নির্বাচনও না। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনটি পাতানো। এখানে নৌকা, ঈগল, ট্রাক ইত্যাদি যা আছে সবাই আওয়ামী লীগের। এমনকি লাঙ্গল, সোনালী আঁশ, নোঙরও তাদের আশীর্বাদপুষ্ট। তারপরও এই নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বহু জায়গায়। নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই, মর্মে ভোটারদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে অহরহ।

চরমোনাই পীর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ন্যূনতম দেশপ্রেম থাকলে দ্রুত পদত্যাগ করুন। প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করে কারাবন্দী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। জনগণের ভোটাধিকার, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করুন।

দলের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, আশরাফ আলী আকন, খন্দকার গোলাম মাওলা ও মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, আফতাব উদ্দিন, কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, লোকমান হোসেন জাফরী, মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, খলিলুর রহমান, জিএম রুহুল আমিন, এম হাসিবুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, নুরুল করীম আকরাম, নাসির উদ্দিন খান, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ প্রমুখ।