শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭.পৌষ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৪৪, ৩ আগস্ট ২০২৪

দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের জমায়েত ডাক 

দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের জমায়েত ডাক 
আওয়ামী রীগের সঙবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

আগামীকাল দেশব্যাপী জমায়েতের ডাক দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে সহিংসতায় প্রাণহানির প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এই কর্মসূচি দিল। রবিবার ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং দেশের সব মহানগর এবং জেলায় রোববার জমায়েত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন কাদের।

তিনি বলেন, একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না, সে কারণে সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম আমরা এড়িয়ে চলেছি। গতকাল এবং আজকেও আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমরা এখন নতুনভাবে ৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, যদিও মৃত্যুর বেদনা, জন্মদিবসকে ছেপে চলে যায় শোকের কাছে। আমরা রবিবার নতুন করে প্রোগ্রাম দিয়েছি।

কোটা আন্দোলনে গত ১৮ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষে সরকারি হিসাবে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর বেসরকারি হিসেবে দুইশোর বেশি। এরপর শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশে এক বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সংঘাতের দায় দিয়ে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছে, সরকারের অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে তারা ত্রাস তৈরি করেছিল। বিএনপিও সরকার পতনের চেষ্টা করছে বলেও মনে করছে ক্ষমতাসীন দল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ফিরিয়ে এনেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে বিএনপি-জামায়াত অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিএনপি বার বার জনগণ দ্বারা ‘প্রত্যাখাত’ ও রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে কোনো আন্দোলন দেখলেই সেটাকে সরকার উৎখাতে নিয়ে যেতে উন্মুখ হয়ে থাকে। সরকার সকল উসকানি ও নৈরাজ্য ধৈর্য, সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছিলেন।