জাপার ভাঙন ঠেকানো নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি
দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর আহবান ছাড়া অন্য কারও আহবানে দল সংশ্লিষ্ট ঢাকায় কোনো সভা, সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করতে কেন্দ্রীয়, জেলা, মহানগর ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় পার্টি।শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দলের পক্ষ থেকে যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দলের নীতি নির্ধারকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ও তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটারের পর দলের একটি অংশ রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠকের সংবাদ প্রচারের পরই জাপার পক্ষ থেকে এই অনুরোধ জানানো হলো।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা, জাতীয় পার্টির সকল স্তরের নেতাকে কোনো কুচক্রী মহলের অবৈধ ও অসাংগঠনিক প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জাপা সূত্র জানায়, বুধবার দলটির বনানী কার্যালয়ে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেন পার্টির নেতাকর্মীরা। দলের ভেতর স্বেচ্ছাচারিতা, মনোনয়ন বাণিজ্য এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগে নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের অপসারণ দাবি করেন। এসব ঘটনায় কাজী ফিরোজ রশীদ ও সুনীল শুভ রায়কে দায়ী করে তাদের সকল পদ-পদবি থেকে শুক্রবার অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মনোনয়ন বাণিজ্য, প্রার্থীদের খোঁজখবর না নেওয়া, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত না করাসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়ায় শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিও জাপা থেকে মনোনয়ন পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে গত বুধবার জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ হয়েছে। তাদের দুজনকে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের আলটিমেটামও দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। তারা বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাদের পদ থেকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে।