জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার পৃথক নাশকতার ৯টি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় এ জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত। তবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন নাশকতার অভিযোগে অপর ২ মামলায় জামিন অপেক্ষমাণ থাকায় তিনি এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকালে শুনানি শেষে জামিন আদেশ দেন আদালত। মির্জা ফখরুলের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এতথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা, ওরম ফারুক ফারুকীসহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রমনা দুই ও পল্টন থানার ছয় মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রমনা থানার আরেক মামলাতেও জামিন পান তিনি।
গত ১৩ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের এই ৯ মামলায় জামিন চেয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পুলিশ তাকে এ মামলায় গ্রেফতার না দেখানোয় আদালত তার শুনানি গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি উচ্চ আদালতে বিষয়টি অবহিত করেন। হাইকোর্ট আইন অনুযায়ী জামিন শুনানি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছে।