কোথাও সংঘাতে জড়ানো যাবে না, দলের নেতাকর্মীদের কাদের
কোথাও কোনো সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না বরে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নেত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যে বক্তব্য রেখেছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।
এসময় দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের যাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিতে মাথা ঠান্ডা রেখে চলার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের যাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে।
নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই নতুন সরকারের মূল কাজ হবে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সড়স্যরা শপথ নেবেন। এদিন সংসদ নেতাও নির্ধারিত হবেন। পর দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।
সংসদ নির্বাচনের পর কোনো সহিংসতায় না জড়াতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে কুচক্রীদের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। তারা কোনো ক্ষতি যেন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সবকিছু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।
নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রের বিবৃতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ, ওআইসির পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। আমার মনে হয় যারা ভিন্নতর বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা তাদের দেশ থেকে যেসব পর্যবেক্ষক এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে যে পজেটিভ মন্তব্য করবেন তার ভিত্তিতে বিষয়টি অনুধাবন করবেন।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।