বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬.অগ্রাহায়ণ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ৩ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৫:৫৩, ৩ আগস্ট ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখান আন্দোলনকারীদের

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখান আন্দোলনকারীদের
শনিবার সায়েন্স ল্যাবরেটরী এলাকায় শিক্ষার্থীরা নয় দফার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে, ছবি পলিটিক্সিবিডি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহবান প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারীরা। চলমান আন্দোলন ও  পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

শনিবার (৩ আগস্ট) আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘সরকারের সঙ্গে কোনো প্রকার সংলাপে বসতে আমরা রাজি নই।’ এর আগে একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামও।

আলোচনায় যাবেন কিনা সেই প্রশ্নে আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন ,‘খুনি সরকারের সাথে কোন প্রকার সংলাপে বসতে আমরা রাজি নই, সেখানে রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না। তাদের সাথে আলোচনার কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তাদের কোন বক্তব্য থাকলে দেশবাসীর সামনেই মিডিয়া মারফত তা রাখতে পারেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। গুলি আর সন্ত্রাসের সাথে কোন সংলাপ হয় না।’

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলেনের সমন্বয়কারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আওয়ামী লীগের তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এরই প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

শনিবার (৩ আগস্ট) একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, যখন আমরা ডিবি হেফাজতে ছিলাম, তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ডিবি হেফাজতে অনশন করেছিলাম।

সমন্বয়কদের সঙ্গে বসার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটিও করেছে আওয়ামী লীগ। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।