ইরানে বোমা হামলা ইসরায়েল-মার্কিন সমর্থনে হয়েছে: কুদস ফোর্স
ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিস্থল থেকে কয়েকশ মিটার দূরে জমায়েতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে দেশটির ১০৩ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন ও শতাধিক আহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আমেরিকা এবং ইহুদিবাদী শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কুদস ফোর্সের নেতা ইসমাইল কানি। তিনি বলেন, ইরানে 'রক্ত পিপাসু’রা আক্রমণ করেছে। ইসরায়েল এবং মার্কিন সমর্থনে হামলা হয়েছে ইরানে। তিনি শোক প্রকাশ করেন এবং কেরমানের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও এই হামলায় জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন। একটি লিখিত বিবৃতিতে ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে, এই কাপুরুষোচিত কাজের অপরাধীদের শীঘ্রই চিহ্নিত করা হবে এবং নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মাধ্যমে তাদের জঘন্য কাজের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এর আগে, তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক হাসান আহমেদিয়ান বলেছেন, কেরমানে জেনারেল কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ইরানে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, কারা এই হামলা চালিয়েছে?
উল্লেখ্য, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিস্ফোরণের একাধিক ভিডিওতে বেশ কিছু মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কেরমানের ডেপুটি গভর্নর বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন। কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে শত শত মানুষ তার সমাধিস্থলের দিকে যাওয়ার সময় জোড়া বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়ছিলেন।