সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৬.পৌষ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ৩ জানুয়ারি ২০২৪

এই সপ্তাহে আকুর বিল পরিশোধ করতে হবে

রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার

রিজার্ভ এখন ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার
ফাইল ফটো

রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারার প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে; বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বিপিএম ৬ পদ্ধতির হিসাবে বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে থাকা রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রস হিসাবে রিজার্ভ এখন ২৭ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণের পর পরিমাণ গ্রস হিসাবে হয়েছিল ২৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। তখন বিপিএম৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।

রেমিটেন্স প্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় ডিসেম্বরে একক মাস হিসেবে গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এসেছে দেশে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। এটি রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে।

বর্তমান রিজার্ভ থেকে চলতি সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের সূচি রয়েছে। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে এক বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে দুই মাস পর আকুর দায় সমন্বয় করা হয়।

এর আগে সবশেষ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ে এক দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার আকুর দায় পরিশোধ করা হয়েছিল। তখন ওই বিল পরিশোধের রিজার্ভ নেমেছিল ১৯ বিলিয়নের ডলারের ঘরে। এর আগে চলতি অর্থবছরে জুলাই-অগাস্টে এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আকু দায় পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি নিয়ন্ত্রণে থাকায় আকুর দায়ও আগের চেয়ে কমে আসছে।

আইএমএফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিপিএসম ৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ বা এনআইআর গত অক্টোবর শেষে ছিল ১৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ওই সময়ে বিপিএম ৬ গ্রস হিসাবে ছিল ২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।