বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬.অগ্রাহায়ণ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ৯ জানুয়ারি ২০২৪

মূল্যস্ফীতি ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না, বললেন মন্ত্রী

মূল্যস্ফীতি ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না, বললেন মন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ফাইল ফটো

মূল্যস্ফীতি ছাড়া অর্থনীতি চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন,  যারা অর্থনীতি নিয়ে গভীরভাবে ভাবে না, তারাই মূল্যস্ফীতি নিয়ে কথা বলেন। মূল্যস্ফীতিতো অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরের মধ্যে ৮ থেকে ১০ বছর ৬ শতাংশের নিচে ছিল। এর থেকে ভালো অবস্থা হতে পারে না।

মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, নতুন সরকারের অর্থমন্ত্রী কে হবেন সেটা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন। তবে যিনিই অর্থমন্ত্রী হোক না কেন, অথর্নীতিকে আরও গতিশীল করবে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উত্তীর্ণ হয়েছিল, যা সম্প্রতিক সময়ে কমেছে। তবে আগামীতে ৩০ বিলিয়নের নিচে নামতে দেওয়া হবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির প্রাণ হচ্ছে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ, সেদিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। নিট বা গ্রস—উভয় হিসাবেই বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) রিজার্ভের যে লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে, সেটা আমরা পূরণ করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা কখনো পূরণ করা যাবে না। দেশে যত প্রবাসী আয় আসে, তা দ্বিগুণ করা সম্ভব। এত টালমাটাল পরিস্থিতির পরও দেশের রিজার্ভ ২৫-২৬ বিলিয়ন ডলার। এ বছর আমরা তা কোনোভাবেই ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামতে দেব না। এটা সম্ভব।

ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সুদহার আগের পর্যায়ে রেখে দিলে এখন তা ২২-২৪ শতাংশে উঠে যেত। তাতে আমাদের অর্থনীতি ও দেশের মানুষ হারিয়ে যেত, কিন্তু আমরা তা হতে দিইনি।

কিন্তু সুদহার আবার বাড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, সুদহার বাড়ছে, তা ঠিক। বাজার যদি তা নিতে পারে, তাহলে কেন বাড়বে না? কিন্তু সুদহার যখন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বেশি সুদ দেওয়া সম্ভব ছিল না। এরপর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেলে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে আমরা তা বাড়তে দিইনি। কিছু ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে বলে পত্রিকা থেকে জেনেছি, তা থাকবে না।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলছে, ২০০৮ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট-বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে নতুন সরকারের কোনো পরিকল্পনা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন সরকার এখনো গঠিত হয়নি। ফলে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সমীচীন হবে না। তারা এর আগেও টাকার অবমূল্যায়নের কথা বলেছে; তা না হলে আমরা নাকি টিকতে পারব না। কিন্তু আমরা কি না খেয়ে আছি? বাজার থেকে কোনো জিনিস অবিক্রীত ফেরত আসে?’