ভোটের দিনের নাশকতার পরিকল্পনার কথা জানালেন আইজিপি
আর একদিন পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদিন‘কোনো কিছুর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে’ আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনার তথ্য পুলিশ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন এ বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রস্তুতিও নিয়েছি। আমি আশা করি এ ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি তারা করতে পারবে না। নাশকতাকারীরা পরিকল্পনা করেছিল বিকট শব্দে আওয়াজ কিংবা ককটেল ফুটিয়ে মানুষের মাঝে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। আমরা আশা করি, তারা যত পরিকল্পনাই করুক, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
রবিবার ভোট সামনে রেখে শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
মাগুরায় ছাত্রদলের একজন নেতাকে গ্রেপ্তারের পর সহিংসতা ও নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। জানান। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, তারা একটা পরিকল্পনা করেছিল, বিকট আওয়াজ করে ককটেল চার্জ করে মানুষের মনে ভীতি সঞ্চার করবে। আমি আশা করি, এ ধরনের ভীতির সঞ্চার কেউ করতে পারবে না।
তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ নাশকতা করতে পারবে না। চোরাগোপ্তা দুয়েকটা জায়গায় করতে পারে। সারাদেশে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে, তবে তারা কোথাও সফলভাবে কোনো কার্যক্রম করতে পারেনি। আমরা সকলে মিলে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি উপহার দিতে সক্ষম হব৷
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এ দেশের মানুষ নির্বাচনমুখী এবং নির্বাচনের জন্য দেশবাসী উন্মুখ হয়ে আছেন। দলে দলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। ভোট উৎসবে হরতালকারীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আমার মনে হয়। তিনি বলেন, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকলে একসঙ্গে একযোগে কাজ করছি। স্থানীয় প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একযোগে এক প্ল্যাটফর্মে এসে কাজ করছি।
আইজিপি বলেন, কোথাও নাশকতার চেষ্টা করলে তার ফলাফল ভালো হবে না। নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতা করার জন্য তাদের বেশ কিছু পরিকল্পনার বিষয় আমরা জানতে পেরেছি। সেই আলোকে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় থেকে নাশকতাকারীদের বিষয়ে প্রতিনিয়ত আমরা তাদের ইনফরমেশন পাচ্ছি।
সম্প্রতি মাগুরায় এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা ঘটানোর বেশ কিছু তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন।
নির্বাচনে গুজব প্রতিরোধে পুলিশের ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট সাইবার ওয়ার্ল্ডে কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছি। দেশের গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসসহ আমাদের সকলের মাঝে একটি সুষ্ঠু সমন্বয় রয়েছে। আমরা আপনাদেরকে নিকটস্থ থানায় বা পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের টিম সহায়তার জন্য আপনাদের পাশে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যাবে।
এবার নির্বাচনে না গিয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় সংঘর্ষের পর থেকে হরতাল-অবরোধের ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে তারা। সবশেষ ভোটের আগের দিন শনিবার সকাল ৬টা থেকে ভোটের পরদিন সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে দলটি।
সুত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম