শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭.পৌষ.১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:৩২, ৪ জানুয়ারি ২০২৪

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বৈঠক শেষে ইসি 

সহিংসতা ঘটলে সমন্বিতভাবে সবাই সেটা প্রতিহত করবে

সহিংসতা ঘটলে সমন্বিতভাবে সবাই সেটা প্রতিহত করবে
নির্বাচন কমিশন সচিব মো জাহাংগীর আলম

জাতীয় নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা নেই জানিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো জাহাংগীর আলম বলেছেন, যদি কোনো সহিংসতা ঘটে তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে সেটা প্রতিহত করবে।

গতকাল বুধবার রাতে ইসিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে প্রয়োজনে বেসামরিক প্রশাসনের ডাকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সেটা মোকাবিলা করবেন বলেও জানান সচিব। 

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সকল কমিশনার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাহিনীগুলোর প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

ইসি সচিব বলেন,যেহেতু নির্বাচন একেবারে কাছে। তাই এটি একটি ফলোআপ মিটিং ছিল। তারা কমিশনকে মাঠের অবস্থাটা অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মাঠের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অবস্থা তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত নির্বাচনে বড় ধরণের কোনো আশংকা করছেন না। তবে যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে এজন্য প্রত্যেকেই তারা তাদের নিজ নিজ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরো সক্রিয় রাখবে, যাতে কোনো ধরণের ঘটনা ঘটার আগেই তা নিস্ক্রিয় করা সম্ভব হয়।

সচিব বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সকল আয়োজন নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন করেছে। বিশেষ মিটিংয়ে সকল বাহিনী মাঠ পর্যায়ে তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মাঠে নেমে গেছে। কোন বাহিনীর কত জন, কোথায় কিভাবে কাজ করছেন। সেই পরিকল্পনা তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে মাননীয় কমিশনকে অবহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী তারা মোতায়েন থাকবে। কেন্দগুলো অতীত ইতিহাস, ভোটারের সংখ্যা এই সমস্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রে দুই জন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র তিনজন, অতিগুরুত্বপূর্ণ তিনজন পুলিশ এভাবে নিয়োজিত করা হয়েছে।

সচিব আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। যথন স্থানীয় প্রশাসন অর্থাৎ বেসামরিক প্রশাসন যারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার আছেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে তারা সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে কাজ করবেন। এছাড়া জনগণের মধ্যে যেন ভীতি না থাকে, যে ভোটকেন্দ্রে গেলে তাদের কোনো বিপদ না এই বিষয়টি তারা কাজ করবে।