বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৬.অগ্রাহায়ণ.১৪৩১

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৪ আগস্ট ২০২৪

রংপুরে সংঘর্ষে আ.লীগ নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ জন নিহত

রংপুরে সংঘর্ষে আ.লীগ নেতাসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪ জন নিহত
ছবি: সংগৃহীত

রংপুর নগরীতে আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায়। নিহত বাকি ৩ জন হলেন যুবলীগ কর্মী খসরু (তার বাড়ি রংপুর নগরীর গুড়াতিপাড়া), মাসুম (৩১) (তার বাবার নামসহ বিস্তারিত নিশ্চিত হওয়া যায়নি)। এ ছাড়া নিহত আরেকজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এছাড়া আহত হয়েছেন ৮ সাংবাদিকসহ শতাধিক। গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরদিকে, বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী, বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি সুইট, যুবলীগ নেতা পুলিন চৌধুরীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট হয়েছে। একইভাবে মিঠাপুকুর উপজেলার ইউএনও কার্যালয়, সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, প্রেস ক্লাবের সামনে রাখা ১১টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও নগরজুড়ে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে, সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রংপুর নগরীর টাউন হল চত্বরে সমবেত হতে থাকে। অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা নগরীর জাহাজ কোম্পানি এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ সিটিবাজার থেকে শুরু করে জাহাজ কোম্পানি এলাকা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পিস্তলসহ দেশি অস্ত্র ব্যবহার করতে দেখা গেছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।

সংঘর্ষ চলাকালে একুশে টিভির ক্যামেরাপারসন আলী হায়দার রনি, এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমানসহ ৮ সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় পেলেই এবং ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনে ছবি নিতে দেখলেই মারধরের শিকার হতে হয়েছে বলে আহত সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন।

২ ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে দেখা যায়নি।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাবিবুল হাসান রুমি জানিয়েছেন, পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৭ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রবিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রংপুরে আসার কথা থাকলেও আসেনি। নিরাপত্তার কারণে তদন্ত কমিটির সফর স্থগিত হয়েছে।